ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের অনন্য উদ্যোগ
উপকারভোগীর চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী রমজানের খাদ্য সহায়তা বিতরণ
- আপলোড সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০৯:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০৯:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জে এই প্রথম সুবিধাভোগী পরিবারেরর নিজ নিজ পছন্দ এবং চাহিদা অনুযায়ী পবিত্র রমজান উপলক্ষে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হল। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নে ২২০ টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ভাউচার প্রক্রিয়ায় রমজানের খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ, যার প্রকল্প ব্যবস্থাপক অরূপ রতন দাশ জানান, সাধারণত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা বা ব্যক্তিরাই তাদের পছন্দ অনুযায়ী মালামালের প্যাকেজ তৈরি করে তা বিতরণ করে থাকেন, যা প্রতিটি পরিবারের প্রতি সুষম বণ্টন নিশ্চিত হলেও ন্যায্যতা নিশ্চিত হয় না। বাস্তবে পরিবারগুলোর সদস্য সংখ্যায় ও জীবনধারায় ভিন্নতা থাকার কারণে বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রী একটি পরিবারের জন্যে প্রয়োজনের তুলনায় যেটা কম, অন্য পরিবারের জন্যে সেটা বেশি হতে পারে। তাই সহায়তা বণ্টনে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে ইসলামিক রিলিফ তাদের নির্বাচিত উপকারভোগীদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি ক্যাশ ভ্যালু ভাউচার প্রদান করে, যা প্রদর্শন করে কোন টাকা পয়সা ছাড়াই নির্দিষ্ট ২টি স্থানীয় দোকান থেকে প্রত্যেকটি পরিবারের জন্যে নির্ধারিত ৫০০০/- টাকার মধ্যে নিজ নিজ পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিতে পেরেছেন তারা। ১৭ মার্চ মঙ্গলবার হতে শুরু হয়ে ১৯ মার্চ বুধবার পর্যন্ত এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই পাইলটিং কার্যক্রমটি পরিদর্শন করতে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি অফিস থেকে শহিদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজার সাপ্লাই চেইন রাকিবুল হাসান শুভ, মিল কোঅর্ডিনেটর বিতরণকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন এবং আগত উপকারভোগীদের, অনুভূতি, অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শ সম্পর্কে জানতে চান তারা। এছাড়া উক্ত কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর এ্যাসিস্টেন্ট প্রজেক্ট অফিসার কামরুজ্জামান, চপল কান্তি দেবনাথ, আমজাদ হোসেন, শোহানুর রহমান শান্ত ও ইব্রাহিম খলিল, ফাইন্যান্স অফিসার মো. আবুল হুসেন এবং ম্যাসেঞ্জার কাম নাইটগার্ড মো. আমির হুসেন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ইতিপূর্বে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর, সলুকাবাদ ও ফতেপুর ইউনিয়নে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আরও ৬০০টি দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারের মধ্যে রমজানের খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতি পরিবারকে চাল, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, ছোলা, চিনি, লবণ এবং চিড়া সহ মোট ৬১ কেজি খাদ্যসামগ্রী রমজান শুরু হওয়ার আগেই বিতরণ করা হয়, যাতে সুবিধাভোগী পরিবারগুলো রমজান মাসে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এবং তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। জানা যায়, উপকারভোগী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, বয়স্ক ব্যক্তি, নারীপ্রধান পরিবার, দিনমজুর, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি ও শিশুরা অগ্রাধিকার পেয়েছে। - সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ